Currently Empty: $0.00
SID: DWFA202324006
- মাতার নাম: মাহমুদা বিলকিস
- বয়স: ৩৫ বছর
- ঠিকানা: নওগাঁ, ঢাকা, বাংলাদেশ
- পাশের সন: ২০২৪
- পেশা: ছাত্রী
- অনুভূতি: আমার এখন কোনো দুনিয়াবি পেশা নেই, আলহামদুলিল্লাহ! একজন ত্বলেবাহ—এটাই একমাত্র পরিচয়।
অনুভূতির বর্ণনা
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله والصلاه والسلام على رسول الله
উস্তায যখন শুরু থেকে শেষ অবধি অনুভূতি লিখতে বললেন, তখন চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়তে লাগল। মনে হচ্ছিল প্রতিটা ভালোলাগা, খারাপ লাগার মুহূর্ত একসাথে ফিরে আসছে।
আমি যারা জেনারেল শিক্ষা থেকে দ্বীনের পথে এসেছি, তাদের মতো সব পেয়েছি—এমন নয়। প্রতিটি নফসের আলাদা কান্নার রঙ আছে। তবুও প্রিয় মাদ্রাসার পথচলায় ছিলাম, আছি।
আমরা যারা অনলাইনে বেজড দ্বীনী, শুরুতে সালাফী বা আহলে হাদীস উস্তাযদের মতাদর্শে পড়ি। পরে বুঝেছি, ইখতিলাফে যাওয়া উচিৎ নয়। উস্তায বারবার বলেছেন—“পাঁচ বছর সময় দিন, আপনি নিজেই বুঝবেন আপনাকে কী ফলো করতে হবে।”
মাদ্রাসায় আগমন
আমার দ্বীনের পথে আসার সূচনা এক আপুর মাধ্যমে, যিনি আমাকে ইন্টারনেট মাদ্রাসা (তালিমুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারনেট মাদ্রাসা)-এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। চাকরির ফাঁকে, বাসে বসে পড়াশুনা করতাম। কষ্টের মাঝেও উস্তাযের একটাই কথা শক্তি দিত:
“লেগে থাকুন, জমে থাকুন।”
উস্তায মা’য়ের মত আমাদের দ্বীনের পথে হাঁটতে শিখিয়েছেন। ইসলাহী মজলিস, নসীহত আর উপদেশগুলো জীবনের পাথেয়।
পড়াশোনার অভিজ্ঞতা
- মেশকাত জামাতে শারহুল আক্বীদাহ পড়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলাম।
- বুখারী সানী ক্লাসে কিতাবুল মাগাযীর বিস্তারিত সীরাত শোনে বিস্মিত হয়েছি।
- বুখারী আউয়াল ক্লাসে উস্তাযের দরদ, কণ্ঠের কান্না এখনো কানে বাজে।
- দারুর রাশেদের হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী উস্তাযের সরলতা ও প্রাঞ্জলতা মনে দাগ কেটেছে।
- কাসেমী উস্তায, সন্ধীপ উস্তায, মুসলিম সানি উস্তায—তাদের প্রাণবন্ত ক্লাসগুলো কখনো কষ্ট দেয়নি।
কৃতজ্ঞতা ও দো‘আ
প্রিয় উস্তাযদের হক আদায় করতে পারিনি, তবুও তাদের নসীহত জীবনের দিশারি। সহপাঠীদের সাথে ছিলো ঝগড়া-মিল, আনন্দ-বেদনা। তবুও দ্বীনের পথে একসাথে থাকা ছিল অমূল্য।
শেষে শুধু বলি—
যেমন ইলমের সাথে আছি, থাকি, আর যেন থাকতে পারি। তাওয়াক্কুল ও সবরের সাথে জীবন সাজাতে পারি। উস্তাযদের দো‘আ আমাদের সবার জন্য কবুল হোক। আমীন।