Breadcrumb Abstract Shape
Breadcrumb Abstract Shape

কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জান্নাতী নারীর পরিচয়

চমৎকার প্রশ্ন ❤️
কুরআন-সুন্নাহর আলোকে “জান্নাতী নারী” বলতে মূলত সেই নারীকে বোঝায়, যিনি ঈমান-তাকওয়া ধরে রেখে আল্লাহর হুকুম ও রাসূল ﷺ-এর সুন্নাহ মেনে জীবন কাটান। সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো—

জান্নাতী নারীর গুণাবলি (কুরআনভিত্তিক)

  • ঈমান ও তাকওয়া—আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস, নেক কাজে স্থিরতা। “আল্লাহ মুমিন পুরুষ-নারীদের জন্য ক্ষমা ও মহান পুরস্কার প্রস্তুত রেখেছেন” (আহজাব 33:35)।
  • সালাত, সিয়াম, জিকিরে অবিচল—নামাজ কায়েম, রমজানে রোজা, আল্লাহকে বেশি স্মরণ (33:35; মুমিনুন 23:1-11)।
  • লজ্জাশীলতা ও পবিত্রতা সংরক্ষণ—দৃষ্টি-পোশাকের হেফাজত, শালীনতা বজায় রাখা (নূর 24:31)।
  • সদাচরণ ও ন্যায়-নিষ্ঠা—ভাল কাজে উৎসাহ, মন্দ থেকে বিরত রাখা (তাওবা 9:71)।
  • সবর-শুকর—কষ্টে ধৈর্য, নেয়ামতে কৃতজ্ঞতা; ধৈর্যশীলদের জন্য বিশাল প্রতিদান (যুমার 39:10)।
  • পরিবারের হক আদায়—পিতা-মাতা, স্বজন, প্রতিবেশী—সবাইয়ের হক আদায় (ইসরা 17:23; নিসা 4:36)।
  • দাম্পত্যে দয়া-মায়া—দুইজনই একে অপরের “পোশাক” (বাকারা 2:187), সম্পর্কের ভিত্তি মওয়াদ্দত-রহমা (রূম 30:21)।

সুন্নাহ থেকে পথনির্দেশ

  • ফরজ ibadah + চরিত্র + দাম্পত্য দায়িত্ব—হাদিসে এসেছে: যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজানের রোজা রাখে, পবিত্রতা রক্ষা করে এবং (হালালের মধ্যে) স্বামীর কথা মানে—তাকে বলা হবে, “জান্নাতের যে দরজা দিয়ে খুশি, সে দরজায় ঢুকে যাও।” (মুসনাদ আহমদ ও অন্যান্য সূত্রে বর্ণিত, সহিহ হিসেবে গ্রহণযোগ্য)।
  • সৎ স্ত্রী সর্বোত্তম সম্পদ“দুনিয়া এক উপভোগ; আর তার শ্রেষ্ঠ উপভোগ হলো নেককার স্ত্রী।” (সহিহ মুসলিম)।

অনুসরণযোগ্য দৃষ্টান্ত

  • আসিয়া (ফেরাউনের স্ত্রী) ও মরিয়ম—তাহরিম 66:11-12-এ আল্লাহ তাঁদেরকে মুমিনদের আদর্শ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
  • রাসূল ﷺ-এর পরিবার: খাদিজা, ফাতিমা, আয়িশা—ঈমান, ইলম, সেবা ও সততায় আদর্শ।

এক নজরে চেকলিস্ট

  • ফরজ: নামাজ, রোজা, জাকাত/সদকা, হালাল-হারাম মানা
  • চরিত্র: সততা, হায়া, গীবত-চোগলখোরি থেকে বেঁচে থাকা
  • পরিবার: স্বামী/স্ত্রীর হক, সন্তান-আত্মীয়ের হক আদায়
  • সমাজ: ভাল কাজে সহযোগিতা, অন্যের অধিকার রক্ষা
  • ধারাবাহিক তাওবা-ইস্তিগফার, ইলম চর্চা

শেষ কথা: জান্নাত মেলে তাকওয়ার কারণে—“তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত সে, যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান” (হুজুরাত 49:13)। নিখুঁত হওয়া শর্ত নয়; নিয়মিত নেক আমল + ভুল হলে তাওবা—এটাই জান্নাতের পথ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাতী চরিত্র দান করুন। 🤲 আপনি চাইলে আমি এই তালিকা থেকে দৈনিক-সাপ্তাহিক করণীয় ছোট্ট প্ল্যান বানিয়ে দিতে পারি।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *